পবিত্রতার আরবি প্রতিশব্দ 'তাহারাতুন'। ওযু, গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যায়। ইবাদতের জন্য পবিত্র থাকা একান্ত প্রয়োজন। পবিত্র না হয়ে নামায আদায় করা যায় না। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স.) বলেন, 'পবিত্রতা ব্যতীত নামায কবুল হয় না এবং আত্মসাতের মাল দ্বারা সাদাকা (দান) হয় না।' (মুসলিম)
পবিত্র থাকলে শরীর সুস্থ থাকে। মন প্রফুল্ল থাকে। লেখাপড়া ও কাজকর্মে মন বসে। আল্লাহ তায়ালাও পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَاللهُ يُحِبُّ الْمُطَهِّرِينَ
অর্থ: "আর উত্তমরূপে পবিত্রতা সম্পাদনকারীদের আল্লাহ ভালোবাসেন।" (সূরা আত্-তাওবা, আয়াত: ১০৮)
রাসুলুল্লাহ (স.) স্বয়ং পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত ছিলেন। তিনি তাঁর উম্মতকে পবিত্রতা অর্জনের জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন এবং পবিত্র থাকার জন্য বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহানবি (স.) বলেন, 'পবিত্রতা ইমানের অংশ।' (মুসলিম)
পবিত্রতার প্রকারভেদ
পবিত্রতা দুই প্রকার: ১. অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা, ২. বাহ্যিক পবিত্রতা।
অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা
হৃদয়কে যাবতীয় শিরক, রিয়া, গিবত ইত্যাদি থেকে মুক্ত রাখার নাম অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা।
বাহ্যিক পবিত্রতা
শরিয়তের বিধিমোতাবেক ওযু, গোসল ইত্যাদির মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনকে বাহ্যিক পবিত্রতা বলে।
পবিত্রতা ও অপবিত্রতার মানদণ্ড হচ্ছে শরিয়ত। নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি বা অভিরুচি অনুযায়ী এ বিষয়ে কিছু কমবেশি করার কারো অধিকার নেই। কেবল সেসব বস্তুই পবিত্র যাকে শরিয়ত পবিত্র বলেছে। আর সেসব বস্তু অপবিত্র যাকে শরিয়ত অপবিত্র বলেছে। সুতরাং শরিয়তের বিধিমোতাবেক পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। নিজের ধ্যানধারণা ও রুচির বশীভূত হয়ে পবিত্রতা ও অপবিত্রতার কোনো মানদণ্ড ঠিক করা উচিত নয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
مَا يُرِيدُ اللهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ حَرَجٍ وَلَكِنْ يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ
অর্থ: "আল্লাহ তোমাদের উপর কোনো অসুবিধা রাখতে চান না। বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান।" (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত: ৬)
| কাজ : শিক্ষার্থীরা দলে বিভক্ত হয়ে পবিত্র থাকার উপায়গুলো দলীয় আলোচনার পর পোস্টার পেপারে লিপিবদ্ধ করবে এবং শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে। | 
Read more